শান্তিচুক্তির ৮০ ভাগ বাস্তবায়ন হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী

Post Image

আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের মিতিঙ্গাছড়িতে চার হাজারতম পাড়াকেন্দ্রের উদ্বোধন করে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এখন পর্যন্ত পার্বত্য শান্তিচুক্তির ৭০ থেকে ৮০ ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে, বাকিটাও করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের ভূমির মালিকানা নিশ্চিতে পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

আজ রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটির কাপ্তাইয়ের মিতিঙ্গাছড়িতে চার হাজারতম পাড়াকেন্দ্রের উদ্বোধন করে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

পার্বত্য অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৃত্যুহার রোধ, ঠিকঠাক পুষ্টি, সুপেয় পানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ মৌলিক চাহিদাগুলো নিশ্চিত করতেই গড়ে তোলা হয় পাড়াকেন্দ্র। যেটি আসলে এক ছাদের নিচে এসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার নিশ্চয়তা। ১৯৮৫ সাল থেকে তিন ধাপে নির্মাণ করা হয়েছে এসব কেন্দ্র। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রাঙামাটির মিতিঙ্গাছড়িতে চার হাজারতম পাড়াকেন্দ্রের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। জানালেন, এসব উদ্যোগ আসলে ওই অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া মানুষজনের মধ্যে উন্নয়নের ছোঁয়া পৌঁছে দিতেই নেওয়া হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটির সার্বিকভাবে উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি কিন্তু আমরা হাতে নিয়েছি। কারণ এই অঞ্চলটায় ২০টা বছর কোনো উন্নয়ন হয়নি, উন্নয়নের ছোঁয়া পায়নি। কাজেই তাদের এই ২০ বছরের যে পেছনে পড়ে আছে, তাদের সামনে আনার জন্য আমরা বিশেষভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমাদের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি, অর্থাৎ এডিপিতে ১৭টি প্রকল্প এখন বাস্তবায়ন হচ্ছে ওই অঞ্চলে। তা ছাড়া আমরা আঞ্চলিক পরিষদ গঠন করেছি এবং আঞ্চলিক পরিষদের জন্য এবারের বাজেটে আলাদা টাকা আমরা বরাদ্দ দিয়েছি।’

আওয়ামী লীগ সরকারই পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ফিরিয়ে এনেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ১৯৭৫ সালের পর ক্ষমতায় থাকা সামরিক শাসকরা তা চাননি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫-এর পর থেকে বলতে গেলে ’৭৬ সালে যখন এ দেশে মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা নেয়, তারা ক্ষমতা নিয়েই কিন্তু এই সমস্যাটা আরো প্রকট করে। প্রকট করে আমি এ জন্য বলব যে সমতলভূমি থেকে বিভিন্ন লোককে নিয়ে ওখানে বসতি করানোর শুরু করে দেয়। তাদের ক্যাম্পে রাখা হয় এবং সেখানে সংঘাতটা আরো উসকে দেওয়া হয়। আমরা যেহেতু মানে যেটাকে বলে রোগ নির্ণয় করা, সেটা নির্ণয় করতে পেরেছিলাম বলেই আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে শান্তিচুক্তি আমরা করি। এরই মধ্যে আমরা চুক্তির প্রায় ৭০/৮০ ভাগের মতো বাস্তবায়ন করেছি। যেটুকু বাকি আছে, সেটাও করব।’

এ সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন ওই অঞ্চলের মানুষের ভূমির মালিকানা নিশ্চিত করতে পদক্ষপে নেওয়ারও। বলেন, ‘ভূমি কমিশন আমরা গঠন করে দিয়েছি। এই ভূমি কমিশন যদি একটু নিয়মিত বসতে পারে, সে সমস্যাটাও আমাদের সমাধান হতে পারে। আর জমিজমার মালিকানা সেই ব্রিটিশ আমলে করা আইন দিয়ে না, বরং আমাদের সব জায়গার মানুষ যেন তাঁর ভূমির মালিকানাটা পায়, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষ যেন তার ভূমির মালিকানাটা সেইভাবে নিতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থাই করতে চাই।’